Select Page

গ্রিক বিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের ‘ইউরেকা’র গল্প আমরা জানি। অনেক দিনের ক্লান্তিকর চেষ্টার পর ‘সোনার হারে খাদ আছে কিনা’ এই রহস্যের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সফল হবার পর – তিনি ‘ইউরেকা, ইউরেকা’ বলে চিৎকার করে উঠেন। অনেকে মজা করে বলেন, তিনি নাকি আনন্দের আতিশায্যে স্নানঘরের চৌবাচ্চা থেকে নগ্ন হয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে রাজসভায় চলে গিয়েছিলেন। আর্কিমিডিস সাহেব ন্যাংটা হয়ে দৌড়াক, আর পোশাক পরে দৌড়াক, তাতে কিছু যায় আসে না। যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো – সেই থেকে অনেক সাধনার পর হঠাৎ কিছু পাওয়ার মুহূর্তটিকে বলে ‘Eureka Moment’ – ইউরেকা মুহূর্ত।

তুমিও কি অনেক দিন ধরে একটা কিছুর আশায় আছ? অনেক দিন চেষ্টা করছ – কিন্তু ফল হচ্ছে না? তুমি আসলে একটা ‘ইউরেকা মোমেন্টে’র অপেক্ষায় আছো। জীবনে সাফল্যের জন্য দরকার কয়েকটি ইউরেকা মোমেন্টস। আর তা এমনি এমনি আসে না। সৃষ্টি করতে হয়। নিজেকেই সৃষ্টি করতে হয়। এটা কেউ কাউকে দান করতে পারে না। নিজেকেই অর্জন করে নিতে হয় নিজের ‘ইউরেকা মোমেন্ট’।
আর্কিমিডিস রাতদিন চেষ্টা করেছেন, স্নানের মুহূর্তেও তাঁর মাথায় সোনার হারের বিষয়টি তীব্রভাবে ছিলো – তাঁর প্রচণ্ড চেষ্টার ফলেই একটা ‘ইউরেকা মোমেন্ট’ তাঁর কাছে আসতে বাধ্য হয়েছিলো।

তো তোমার ইউরেকা মোমেন্টস কবে আসবে? তুমি কি প্রস্তুত? তুমি কি প্রাণপণ লেগে আছ? সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছ? তোমার প্রচণ্ড ইচ্ছাই তোমার জন্য নিয়ে আসবে সেই স্বপ্নের ‘ইউরেকা মোমেন্ট’। সেদিন আকাশ বাতাস চারিদিক কাঁপিয়ে সবাইকে শুনিয়ে তুমিও বলে উঠবে – ইউরেকা, ইউরেকা।

সেই কথাটা পৃথিবীকে শুনাতেই তুমি এসেছ।