টুনি পাড়ার মুদির দোকানে এসেছে। দু’কিলো চাল, আধকিলো ডাল
আর এক হালি ডিম চাই। কিন্তু তার কাছে টাকা নাই। মা বলেছেন,
দোকানদার চাচাকে কিছু একটা বানিয়ে বলে-টলে, বাকিতে কিনতে।
টুনি কী বলবে-টলবে, বুঝতে পারছে না, কটা কবিতা আর গান ছাড়া
সে কিছু জানে না। সেগুলো দিয়েই চেষ্টা করছে, সুকুমার রায়ের দুটি ছড়া
বলে ফেলেছে – দোকানী ‘আবোল-তাবোল’ কী বুঝেছে কে জানে –
খ্যাঁক খ্যাঁক করে হেসেছে। রবীন্দ্রনাথের ‘দুই বিঘা জমি’ অনেকখানি
বলেছে। দোকানী এমনভাবে তাকিয়ে ছিল – থেমে যেতে হয়েছে।
এরপর নজরুলের একটি ভক্তিমূলক গান আধখানা গাইতে পেরেছে,
গানের মধ্যেই বদমাশ দোকানী বুঝিয়ে দিয়েছে, সে আসলে কী চাইছে।
টুনি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরছে। সে বুঝেছে –
কিছু রবীন্দ্রনাথ আধখানা নজরুল আর দুটি সুকুমার রায়ের দাম
দু’কিলো চাল, আধকিলো ডাল আর এক হালি ডিমের চেয়ে কম।