Select Page
হোমার-সাগরে হিমালয়

প্রকাশক: চৈতন্য প্রকাশন
সিলেট: ০১৭১৮২৮৪৮৫৯
প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০২১


এই বইয়ের ভূমিকায় কবি বলেন, ‘এই বইয়ের বেশীর ভাগ কবিতা লিখেছে হোমার-সাগর, আর কিছু কবিতা লিখেছে হিমালয়। গ্রিসের সাগরগুলোকে আমি অনেক আগেই নাম দিয়েছি হোমার-সাগর। এই বইয়ের বেশীর ভাগ কবিতাই শুরু হয়েছিল এথেন্সে, শেষ হয়েছে ভুটানে। তাই যা লিখার সাগর আর হিমালয়ই লিখেছে’।

 

বইটির প্রথম দুটি কবিতা:


কিছু রবীন্দ্রনাথ আধখানা নজরুল আর দুটি সুকুমার রায়

টুনি পাড়ার মুদির দোকানে এসেছে। দু’কিলো চাল, আধকিলো ডাল
আর এক হালি ডিম চাই। কিন্তু তার কাছে টাকা নাই। মা বলেছেন,
দোকানদার চাচাকে কিছু একটা বানিয়ে বলে-টলে, বাকিতে কিনতে।
টুনি কী বলবে-টলবে, বুঝতে পারছে না, কটা কবিতা আর গান ছাড়া
সে কিছু জানে না। সেগুলো দিয়েই চেষ্টা করছে, সুকুমার রায়ের দুটি ছড়া
বলে ফেলেছে – দোকানী ‘আবোল-তাবোল’ কী বুঝেছে কে জানে –
খ্যাঁক খ্যাঁক করে হেসেছে। রবীন্দ্রনাথের ‘দুই বিঘা জমি’ অনেকখানি
বলেছে। দোকানী এমনভাবে তাকিয়ে ছিল – থেমে যেতে হয়েছে।
এরপর নজরুলের একটি ভক্তিমূলক গান আধখানা গাইতে পেরেছে,
গানের মধ্যেই বদমাশ দোকানী বুঝিয়ে দিয়েছে, সে আসলে কী চাইছে।
টুনি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরছে। সে বুঝেছে –

কিছু রবীন্দ্রনাথ আধখানা নজরুল আর দুটি সুকুমার রায়ের দাম
দু’কিলো চাল, আধকিলো ডাল আর এক হালি ডিমের চেয়ে কম।

দুঃখজীবী

সুখ ভেবে ছুঁতে পারো, ব্যথা পেয়ে কাঁদবে অনেকখানি
হিমালয় সাগরকে বলেছে, মানুষ একটি দুঃখজীবী প্রাণী

বইটির শেষ কবিতা

আমার নয়, তোমার লেখা

তুমি পড়বে, তাই সপ্তর্ষী এসেছিল কাল রাতে
তোমার কথাই বলেছে তারারা, আমি শুধু তুলেছি খাতাতে