Select Page

এথেন্সে একটা বাড়িতে গেলাম। বাড়ির মালকিন ভীষণ স্মার্ট। তিনি বললেন, এটা কিন্তু একটা স্মার্ট বাড়ি।
-মানে?
মানে এই বাড়ির সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায় ইন্টারনেটে। সুইচ, গেইট, হিটিং, গ্যারেজ সব কিছু। ইন্টারনেটে কানেক্টেড থাকলেই হলো। মোবাইলে টাচ করবেন। কাজ হাসিল! সেজন্য আপনাকে বাড়িতে বসে থাকতে হবে না।

বেশ ইন্টারেস্টিং। আর কি কি করা যায় এই ভাবে?

সবকিছু। আপনি অফিসে আছেন। ধরুন আপনার পোষা বিড়ালের খাওয়ার সময় হয়েছে। তো অফিসে বসেই টাচ করুন মোবাইলে। দেখবেন চুকচুক করে দুধ খাচ্ছে আপনার মিনি। এথেন্সে আপনার কুকুরের পটি করার সময় হয়েছে? আপনি সিডনিতে বসেই মোবাইলে টাচ করুন। বিশেষ একটা শব্দ কুকুরকে জানিয়ে দেবে – এসো বাবা, বাথরুম করে যাও।

মাই গড! না না – আওয়ার গড! হোম অটোমেশান যে এতদূর এগিয়ে গেছে ধারনাই ছিলো না। মনে পড়ল ইউনিভার্সিটিতে ডিজনির স্মার্ট হাউজ নামে একটা সিনেমার কথা শুনেছিলাম। এখন বাস্তবেই তার থেকে অনেকদূর চলে এসেছে। শুধু বাড়িই নয় সিটিকেও এখন স্মার্ট করে তোলা হচ্ছে। প্রতিবছরই স্মার্ট সিটি সম্মেলন হয় অনেকগুলো দেশে।

বেশ। স্মার্ট সিটিতে স্মার্ট বাড়ি। বাড়ির মালিকেরা স্মার্ট। তাঁর কুকুর-বিড়াল সব স্মার্ট। টিভি স্মার্ট, ঘড়ি স্মার্ট। ফোনতো অবশ্যই স্মার্ট।

আহা- এতো স্মার্টদের ভিড়ে শুধু আমার মত কিছু মানুষই চিরকালের আনস্মার্ট।

স্মার্ট হাউজ// © সুজন দেবনাথ