Select Page

‘হোমার-সাগরে হিমালয়’বইয়ের বেশীর ভাগ কবিতা লিখেছে হোমার-সাগর, আর কিছু কবিতা লিখেছে হিমালয়। গ্রিসের সাগরগুলোকে আমি অনেক আগেই নাম দিয়েছি হোমার-সাগর। এই বইয়ের বেশীর ভাগ কবিতাই শুরু হয়েছিল এথেন্সে, শেষ হয়েছে ভুটানে। তাই যা লিখার সাগর আর হিমালয়ই লিখেছে।

গত কয়েকটা রাত জেগে জেগে কবিতাগুলো ফাইনাল করছিলাম। আমার ছেলে মহা বিরক্ত। ঘুমের সময় আমাকে পায় না। একরাতে সে বিজ্ঞের মতো বললো, ‘একটা কবিতা লিখতে তোমার এতোক্ষণ লাগে’?
বললাম, ‘কবিতা হলো সাগর, তার মধ্যে অনেক কষ্ট করে এক-একটা হিমালয়কে লুকাতে হচ্ছে, সেজন্য সময় লাগছে’।
সে বললো, ‘কোথায় সাগর, কোথায় হিমালয়, কিছুই তো দেখতে পাই না’।
বললাম, ‘সাগর আছে, চেষ্টা কর, ভাল করে চেষ্টা করলেই দেখতে পাবি’।
ছেলে এবার বিপদে পড়ে গেছে, বাবা যখন বলেছেন, তখন সাগর তো অবশ্যই আছে, কিন্তু বেচারা দেখতে পাচ্ছে না, তবু চেষ্টা করছে, সাগর দেখতেই হবে।
চোখ পিট পিট করে লেখার একেবারে সামনে গিয়ে বললো, ‘মনে হয় দেখতে পাচ্ছি, বাংলা অক্ষর একেবারে সাগরের মতো’।
সে নতুন বাংলা শিখছে, ইংরেজি শেখা শিশুর কাছে নতুন বাংলা অক্ষর সাগরের মতোই মনে হবে।

বললাম, ‘এইতো ঠিক বলেছিস, বাংলা অক্ষর একেবারে সাগরের মতো, আমার কাছে সেটি হোমার-সাগর, সেই অক্ষর-সাগরে হিমালয় লুকানো আছে’।

© সুজন দেবনাথ // ‘হোমার-সাগরে হিমালয়’ এর ভূমিকা থেকে নেয়া
………………………… ……………………………